# সাহাবী জিবনঃ
সত্যের পথে আসার কারণে দুর্বৃত্ত ওতবা ইবনে রবিয়া এর প্রচন্ড প্রহারে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মর মর অবস্থা। প্রচন্ডভাবে আহত অবস্থায় তার গোত্রের লোকেরা চাদরে জড়িয়ে তাকে তার মায়ের কাছেই নিয়ে গেল। সবাই ভেবেই নিয়েছিল এই যাত্রায় আর হয়তো আশা নেই কিন্তু দিন শেষে জ্ঞান যখন ফিরে আসল, তখন লোকজনের উদ্দেশ্যে তার প্রথম প্রশ্ন ছিল,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন আছেন?"
...
See More "আম্মা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন আছেন?"
মা জানালেন তিনি জানেন না তার খবর। তিনি মাকে বললেন, উম্মে জামিল বিনতে খাত্তাবের কাছে গিয়ে খবর এনে দিতে। ছেলের এই অবস্থা দেখে তার মা উম্মুল খয়ের দৌড়ে গেলেন খবর আনতে। অবস্থা শুনার পর উম্মে জামিল, উম্মুল খায়ের এর সাথে মিলে আসলেন মানুষটির কাছে। রক্তাক্ত করুন অবস্থায় তাকে দেখে উম্মে জামিল চিৎকার দিয়ে উঠলেন,
"যে কওমের লোকেরা আপনার এ দুরবস্থা করেছে, নিঃসন্দেহে তারা দুর্বৃত্ত ও কাফের, আমি আশা করি, আল্লাহ তায়ালা আপনার পক্ষে ওদের উপর প্রতিশোধ নেবেন!!!!"
উম্মে জামিলও যখন তার প্রিয় নবীর খবর ঠিকভাবে দিতে পারলেন বিমর্ষ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানালেন,
"আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাকে আল্লাহর রসূলের কাছে না নেওয়া পর্যন্ত আমি কোন কিছুই পানাহার করবো না"
বাধ্য হয়েই তাঁর মা উম্মুল খায়ের এবং উম্মে জামিল কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ে তাকে লোক সমাগম কমে এলে রাতের অন্ধকারে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হাযির হলেন।
এই মানুষটি হলেন আমীরুল মুমিনিন হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
আমাদের হিরো, আমাদের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা দেখিয়ে গেছেন কিভাবে নিজের জীবনের চাইতেও প্রিয় নবীকে ভালোবাসতে হয়। নবীর পদঙ্কিত পথে পা বাড়াতে, চলতে হয়। এই ভালোবাসা এত তীব্র ছিল যেন তা পাহাড়ি ঝর্ণার পানির ধারা, লোহা যেমন চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তেমনি তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি আকৃষ্ট হতেন।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে এমন করে তাদের মত ভালোবাসার মত ঈমান এবং অন্তর তৈরি করে দিন। আমীন।
--------
তথ্যসূত্র:
ক) আর রাহীকুল মাখতূম - আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী রহিমাহুল্লাহ
সত্যের পথে আসার কারণে দুর্বৃত্ত ওতবা ইবনে রবিয়া এর প্রচন্ড প্রহারে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মর মর অবস্থা। প্রচন্ডভাবে আহত অবস্থায় তার গোত্রের লোকেরা চাদরে জড়িয়ে তাকে তার মায়ের কাছেই নিয়ে গেল। সবাই ভেবেই নিয়েছিল এই যাত্রায় আর হয়তো আশা নেই কিন্তু দিন শেষে জ্ঞান যখন ফিরে আসল, তখন লোকজনের উদ্দেশ্যে তার প্রথম প্রশ্ন ছিল,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন আছেন?"
...
See More "আম্মা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন আছেন?"
মা জানালেন তিনি জানেন না তার খবর। তিনি মাকে বললেন, উম্মে জামিল বিনতে খাত্তাবের কাছে গিয়ে খবর এনে দিতে। ছেলের এই অবস্থা দেখে তার মা উম্মুল খয়ের দৌড়ে গেলেন খবর আনতে। অবস্থা শুনার পর উম্মে জামিল, উম্মুল খায়ের এর সাথে মিলে আসলেন মানুষটির কাছে। রক্তাক্ত করুন অবস্থায় তাকে দেখে উম্মে জামিল চিৎকার দিয়ে উঠলেন,
"যে কওমের লোকেরা আপনার এ দুরবস্থা করেছে, নিঃসন্দেহে তারা দুর্বৃত্ত ও কাফের, আমি আশা করি, আল্লাহ তায়ালা আপনার পক্ষে ওদের উপর প্রতিশোধ নেবেন!!!!"
উম্মে জামিলও যখন তার প্রিয় নবীর খবর ঠিকভাবে দিতে পারলেন বিমর্ষ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানালেন,
"আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাকে আল্লাহর রসূলের কাছে না নেওয়া পর্যন্ত আমি কোন কিছুই পানাহার করবো না"
বাধ্য হয়েই তাঁর মা উম্মুল খায়ের এবং উম্মে জামিল কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ে তাকে লোক সমাগম কমে এলে রাতের অন্ধকারে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হাযির হলেন।
এই মানুষটি হলেন আমীরুল মুমিনিন হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
আমাদের হিরো, আমাদের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা দেখিয়ে গেছেন কিভাবে নিজের জীবনের চাইতেও প্রিয় নবীকে ভালোবাসতে হয়। নবীর পদঙ্কিত পথে পা বাড়াতে, চলতে হয়। এই ভালোবাসা এত তীব্র ছিল যেন তা পাহাড়ি ঝর্ণার পানির ধারা, লোহা যেমন চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তেমনি তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি আকৃষ্ট হতেন।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে এমন করে তাদের মত ভালোবাসার মত ঈমান এবং অন্তর তৈরি করে দিন। আমীন।
--------
তথ্যসূত্র:
ক) আর রাহীকুল মাখতূম - আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী রহিমাহুল্লাহ
Like -
Comment
-
Share
0
0
0