দাউদকান্দির গৌরীপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ঔষধ, দেখার কেউ নেই -
নিজস্ব প্রতিনিধি:
দাউদকান্দির গৌরীপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষধ। দেখার কেউ নেই! একধরনের অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের কখনও সাংবাদিক আবার কখনও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে দেদারছে এসব যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করছে ফুটপাতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গৌরীপুর-হোমনা সড়কের প্রবেশমুখে এসব ঔষধ প্রাইভেটকারে রেখে মাইকিং করে বিক্রি করছে একশ্রেণির সিন্ডিকেট। ‘হাইম্যাক্স ইউনানী ফার্মা সিউটিক্যাল’ কোম্পানীর ব্যানার ব্যবহার করে ‘হাব্বে নিশাত’ ও নানা রকম ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ঔষধ তারা বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। কিন্তু আমাদের প্রতিবেদককে দেখে তারা অনেক যৌন উত্তেজক ঔষধ লুকিয়ে ফেলে।
ঔষধ বিক্রেতাদের মূল হোতা নারায়ণগঞ্জ চাষারার নিত্য হরিদাস, পিতা- মৃত: মুকন্দ চন্দ্র দাস নিজেকে কখনও নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক আবারও কখনও মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন, ‘আমরা পেট বাঁচানোর জন্যই ফুটপাতে ঔষধ বিক্রি করি। ঔষধ খেয়ে মানুষ উপকার পায় বলেই এধরনের ঔষধ চলছে খুব বেশি। এছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই’।
...
See More সাংবাদিক দেখে স্থানীয় এক পথচারি মোঃ হুমায়ুন কবির এগিয়ে আসেন। তিনি তাদের দ্বারা প্রতারিত শিকার হওয়ার বিষয়টি বর্জকন্ঠে বললেন সকলের সামনে। তিনি বলেন, ‘আমাকে কয়েকটি পর্ণ ছবি দেখিয়ে আকৃষ্ট করে তারা। পরে ২ হাজার টাকার নানা ধরনের ঔষধ দেয়। এসব ঔষধের অর্ধ্বেক খাওয়ার পরেই আমার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়ে। আমি কুমিল্লায় এক অধ্যাপককে দেখানোর পর তিনি বললেন, আমার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর তা হয়তো সেরে উঠতে পারে। আমি এখন খুব অসুস্থ।’
এমনই আরেকজন তাদের দেয়া ওষধ সেবনকারী মোঃ হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের মন ভুলানো কথাবার্তায় ভুলে গিয়ে ১ হাজার টাকার ঔষধ কিনে খেয়েছি। ওই ঔষধ খেয়ে আমার ভাল হওয়া তো দূরের কথা, শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি লজ্জায় কারো কাছে বিষয়টি জানাইনি’।
এব্যাপারে মুক্তি মেডিকেলের চর্ম, যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন,‘ এধরনের ঔষধ সেবনে মানুষের কিডনি, লিভার, হার্ট ও মুত্রনালীর ক্ষতিসহ নানা রকম জটিল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এসব ঔষধ থেকে সকলকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
দাউদকান্দির গৌরীপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষধ। দেখার কেউ নেই! একধরনের অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের কখনও সাংবাদিক আবার কখনও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে দেদারছে এসব যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করছে ফুটপাতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গৌরীপুর-হোমনা সড়কের প্রবেশমুখে এসব ঔষধ প্রাইভেটকারে রেখে মাইকিং করে বিক্রি করছে একশ্রেণির সিন্ডিকেট। ‘হাইম্যাক্স ইউনানী ফার্মা সিউটিক্যাল’ কোম্পানীর ব্যানার ব্যবহার করে ‘হাব্বে নিশাত’ ও নানা রকম ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ঔষধ তারা বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। কিন্তু আমাদের প্রতিবেদককে দেখে তারা অনেক যৌন উত্তেজক ঔষধ লুকিয়ে ফেলে।
ঔষধ বিক্রেতাদের মূল হোতা নারায়ণগঞ্জ চাষারার নিত্য হরিদাস, পিতা- মৃত: মুকন্দ চন্দ্র দাস নিজেকে কখনও নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক আবারও কখনও মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন, ‘আমরা পেট বাঁচানোর জন্যই ফুটপাতে ঔষধ বিক্রি করি। ঔষধ খেয়ে মানুষ উপকার পায় বলেই এধরনের ঔষধ চলছে খুব বেশি। এছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই’।
...
See More সাংবাদিক দেখে স্থানীয় এক পথচারি মোঃ হুমায়ুন কবির এগিয়ে আসেন। তিনি তাদের দ্বারা প্রতারিত শিকার হওয়ার বিষয়টি বর্জকন্ঠে বললেন সকলের সামনে। তিনি বলেন, ‘আমাকে কয়েকটি পর্ণ ছবি দেখিয়ে আকৃষ্ট করে তারা। পরে ২ হাজার টাকার নানা ধরনের ঔষধ দেয়। এসব ঔষধের অর্ধ্বেক খাওয়ার পরেই আমার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়ে। আমি কুমিল্লায় এক অধ্যাপককে দেখানোর পর তিনি বললেন, আমার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর তা হয়তো সেরে উঠতে পারে। আমি এখন খুব অসুস্থ।’
এমনই আরেকজন তাদের দেয়া ওষধ সেবনকারী মোঃ হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের মন ভুলানো কথাবার্তায় ভুলে গিয়ে ১ হাজার টাকার ঔষধ কিনে খেয়েছি। ওই ঔষধ খেয়ে আমার ভাল হওয়া তো দূরের কথা, শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি লজ্জায় কারো কাছে বিষয়টি জানাইনি’।
এব্যাপারে মুক্তি মেডিকেলের চর্ম, যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন,‘ এধরনের ঔষধ সেবনে মানুষের কিডনি, লিভার, হার্ট ও মুত্রনালীর ক্ষতিসহ নানা রকম জটিল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এসব ঔষধ থেকে সকলকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
Like -
Comment
-
Share
2
0
0